আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি), রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, পুলিশ ও প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হচ্ছে। এসব মামলার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সমন্বয়ক। এ সময় তিনি আরও জানান, দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করবে।
এর আগে, দুপুর পৌনে ১টার দিকে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলাপ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে তারা বেরিয়ে যান।
সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের নাম ব্যবহার করে অনেক জায়গায় চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। স্বাক্ষর নকল করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খবর পাচ্ছি আমাদের নাম ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের আইনগত কোনো এখতিয়ার নেই, কাউকে সুবিধা দেওয়ার বা নিজেরা সুবিধার নেওয়ার।’
এ সময় সারজিস আলম বলেন, সমন্বয়কদের নামে যারা চাঁদাবাজি করছে তাদেরকে লকারবন্দি করতে হবে। গত ১৬ বছরে দুদকের ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছিল, সেটা যেন তারা ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়। জনগণের আস্থা আসে। সেটা নিয়ে চেয়ারম্যানের আলোচনা করেছেন বলেও জানান এই সমন্বয়ক।