পদ্মায় নৌকা ডুবে ৪ জন নিখোঁজ, প্রচণ্ড স্রোতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত

রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে চারজন নিখোঁজ আছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শহরের ওপাড়ে চর মাজারদিয়াড়–সংলগ্ন পদ্মা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ সোমবার ভোরে উদ্ধার অভিযানে নামে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।

নিখোঁজ চারজন হলেন পবা উপজেলার চর মাজারদিয়াড় গ্রামের এনামুল হকের ছেলে রাজু (২২), এন্তাজুল হকের ছেলে সবুজ (২০), আবুল কালামের ছেলে ফারুক (১৯) ও খলিলের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩৮)। তাঁরা সবাই শ্রমিক।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে নৌকায় করে ১৫ জন শ্রমিক পদ্মার চরে কাজে এসেছিলেন। কাজ শেষে সন্ধ্যায় তাঁরা একটি ডিঙি নৌকায় বাড়িতে ফিরছিলেন। চর মাজারদিয়াড় ঘেঁষে যাওয়া পদ্মা নদীর তীরে এসে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় ১১ জন শ্রমিক সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠেন। বাকি চারজন সাঁতার জানতেন না, তাঁরা তলিয়ে যান। তখন সঙ্গে থাকা অন্য শ্রমিকেরা অনেক চেষ্টা করেও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে পারেননি। পরে বিষয়টি রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস রাতের দিকে পদ্মা নদী পাড় হয়ে ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। পরে আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

এ সম্পর্কে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এ কে এম মুরশেদ বলেন, আজ সকাল ৬টার দিকে তাঁরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে।

আজ সকালে ঘটনাস্থলে যান পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মোট ১৫ জন শ্রমিক ওই নৌকাতে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে চারজন সাঁতার জানতেন না, তাঁরাই নিখোঁজ আছেন। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত। যদি তাঁরা মারাও যান, তবে এই স্রোতে মরদেহ এখানে থাকার কথা নয়। আর এখান থেকে ৫০০ মিটার দূরে ভারত সীমান্ত। আপাতত উদ্ধার অভিযান স্থগিত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *